নবজাতকের জন্য একটি সুন্দর ও অর্থবহ নাম নির্বাচন করা প্রত্যেক মুসলিম পরিবারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ইসলামে নামের গুরুত্ব অপরিসীম, কারণ একটি ভালো নাম শুধু একজন ব্যক্তির পরিচয়ই নয়, বরং তার চারিত্রিক ও মানসিক গঠনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এই কারণে অনেক পরিবার বর্ণানুক্রমে নাম খোঁজে, বিশেষ করে যখন শিশুর নামের প্রথম অক্ষর নির্ধারিত থাকে। আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে স দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম।
“স” অক্ষর দিয়ে অনেক দারুণ সুন্দর ইসলামিক নাম রয়েছে, যেগুলোর অর্থ যেমন অর্থবহ, তেমনি উচ্চারণেও শ্রুতিমধুর। যেমন, সাকিনা (শান্তি, প্রশান্তি), সামিহা (উদার ও ক্ষমাশীল), সারা (বিশুদ্ধ বা আনন্দ), সাবরিনা (ধৈর্যশীলা), সাফা (বিশুদ্ধতা বা পবিত্রতা), সুমাইয়া (প্রথম মহিলা শহীদ), সাদিয়া (সফল ও ভাগ্যবতী) ইত্যাদি নামগুলো মেয়েদের জন্য খুবই জনপ্রিয়।
নামের অর্থ বোঝা এবং তা ইসলামী মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা, সেটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেমন, সাকিনা নামটি কুরআনে বর্ণিত একটি শব্দ, যা আল্লাহর পক্ষ থেকে পাঠানো প্রশান্তিকে বোঝায়। আবার সাফা নামটি পবিত্র মক্কার সাফা পাহাড়ের নাম থেকেও নেওয়া হয়েছে, যা হজ ও উমরাহর গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এমন নাম গুলো শুধু সুন্দর নয়, বরং ধর্মীয়ভাবে সম্মানজনকও।
অনেক বাবা-মা শিশুর নাম রাখার সময় নবীদের স্ত্রী, সাহাবিয়াদের নাম, কিংবা কুরআনে বর্ণিত নারীদের নাম অনুসরণ করেন। এতে করে সন্তানের নাম শুধু ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটায় না, বরং একটি পরিচয় হিসেবে তার জীবনে পজিটিভ বার্তা নিয়ে আসে।
সর্বোপরি, নাম রাখার সময় ইসলামিক ব্যাখ্যা, সুন্দর অর্থ এবং উচ্চারণে সহজ—এই বিষয়গুলো বিবেচনা করা উচিত। আপনার যদি “স” দিয়ে নাম খোঁজার পরিকল্পনা থাকে, তাহলে উপরের নামগুলো থেকে অনুপ্রেরণা নিতে পারেন। এগুলোর প্রতিটিই অর্থবহ, দোয়াপূর্ণ ও ইসলামী ঐতিহ্যে ভরপুর।