
বাংলাদেশের ইতিহাস, ভূগোল, রাজনীতি, সংস্কৃতি ও সাম্প্রতিক তথ্য নিয়ে সাধারণ জ্ঞান চর্চা করা শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যারা বিসিএস, ব্যাংক, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ, এনটিআরসিএ বা বিভিন্ন ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। একটি সুসংগঠিত বাংলাদেশ সম্পর্কিত ১৫০টি গুরুত্বপূর্ন সাধারণ জ্ঞান তালিকা পরীক্ষার্থীকে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় এগিয়ে রাখে।
এই ধরনের জ্ঞান কেবল পরীক্ষার জন্য নয়, বরং একজন সচেতন নাগরিক হিসেবেও প্রয়োজনীয়। জাতীয় দিবস, সংবিধান সংশোধনী, প্রশাসনিক বিভাগ, মুক্তিযুদ্ধ, পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব, নদ-নদী, সীমান্ত এলাকা, পার্বত্য অঞ্চল, অর্থনীতি, কৃষি, সংস্থা, সংবিধানের অনুচ্ছেদ, শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক প্রশ্ন প্রায় সব পরীক্ষাতেই আসে। সুতরাং এগুলোর ওপর নির্ভরযোগ্য প্রস্তুতি জরুরি।
নিচে উল্লেখযোগ্য কিছু সাধারণ জ্ঞানের বিষয় তুলে ধরা হলো:
- বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের তারিখ: ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১
- সংবিধান প্রণয়নের তারিখ: ৪ নভেম্বর, ১৯৭২
- জাতীয় পতাকার ডিজাইনার: কামরুল হাসান
- দেশের বৃহত্তম জেলা: রংপুর
- সর্বোচ্চ পুরস্কার: স্বাধীনতা পদক
- বাংলাদেশের জাতীয় ফল: কাঁঠাল
- পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা: রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি
- বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ: সেন্ট মার্টিন
- দেশের বৃহত্তম গ্যাসক্ষেত্র: তিতাস
- জাতীয় সংসদ সদস্য সংখ্যা: ৩৫০ (৩টি সংরক্ষিত নারী আসনসহ)
এইরকম আরও বহু তথ্য নিয়মিত অনুশীলন করলে স্মৃতিশক্তি যেমন বাড়ে, তেমনি দ্রুত উত্তর দেওয়ার দক্ষতা গড়ে ওঠে। আপনি চাইলে তথ্যগুলো বিষয়ভিত্তিক ভাগ করে মুখস্থ করতে পারেন—যেমন: ইতিহাসভিত্তিক প্রশ্ন, ভৌগোলিক প্রশ্ন, অর্থনীতি সম্পর্কিত প্রশ্ন ইত্যাদি।
পরিশেষে বলা যায়, বাংলাদেশভিত্তিক সাধারণ জ্ঞানের ভালো প্রস্তুতি ছাড়া পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন কঠিন। তাই প্রাত্যহিক অনুশীলন এবং সংশ্লিষ্ট তথ্য আপডেট রাখাই সফলতার চাবিকাঠি। এই প্রক্রিয়ায় একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করে তা নিয়মিত পুনরাবৃত্তি করলে সুফল পাওয়া নিশ্চিত।