কোরআন শরীফ আমাদের ইসলামী জীবনযাত্রার মুল ভিত্তি। এটি শুধুমাত্র একটি ধর্মগ্রন্থ নয়, বরং এটি আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পথনির্দেশ করে। কোরআনের প্রত্যেকটি শব্দই অত্যন্ত মূল্যবান এবং তা থেকে নাম রাখা একটি পবিত্র এবং অর্থবহ কার্যক্রম। কোরআন থেকে নাম রাখা একটি সুন্দর প্রচলন, কারণ এতে রয়েছে পবিত্রতা ও অর্থবহতার প্রতিফলন।
কোরআন থেকে মেয়েদের নাম নির্বাচন করা হলে, তা সাধারণত সুন্দর অর্থপূর্ণ হয় এবং ইসলামি ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রতিচ্ছবি হিসেবে কাজ করে। কিছু জনপ্রিয় কোরআনিক নাম হল:
১. মাইসা:
মাইসা নামটি এসেছে কোরআনের ‘মায়েসা’ শব্দ থেকে, যার অর্থ প্রশংসিত বা সুন্দর। এটি একটি মেয়েদের নাম হিসেবে অনেক জনপ্রিয়।
২. আয়েশা:
আয়েশা নামটি কোরআনে উল্লেখিত নয়, তবে এটি প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর স্ত্রী হযরত আয়েশা (রা.) এর নাম। আয়েশা শব্দের অর্থ হলো ‘জীবিত’ বা ‘সমৃদ্ধশালী’।
৩. ফাতিমা:
ফাতিমা নামটি হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর কন্যার নাম। এটি কোরআনে উল্লেখিত নয় তবে ইসলামি সংস্কৃতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফাতিমা নামের অর্থ হলো ‘স্বতন্ত্র’।
৪. মরিয়ম:
মরিয়ম নামটি কোরআনে বিশেষভাবে উল্লেখিত একটি নাম। এটি হযরত ঈসা (আ.) এর মায়ের নাম এবং এর অর্থ ‘বিশুদ্ধ’ বা ‘পবিত্র’।
৫. সারা:
সারা নামটি কোরআনে উল্লেখিত হযরত ইবরাহিম (আ.) এর স্ত্রীর নাম। সারা শব্দের অর্থ হলো ‘প্রিন্সেস’ বা ‘রাণী’।
৬. হাফসা:
হাফসা নামটি কোরআনে উল্লেখিত একটি নাম। এটি হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর স্ত্রী হযরত হাফসা (রা.) এর নাম। হাফসা নামের অর্থ ‘ছোট সিংহী’।
কোরআন থেকে নাম নির্বাচন করার সময়, এর অর্থ এবং এর সাথে সম্পর্কিত ইতিহাস জেনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। একটি নাম শুধুমাত্র একটি পরিচয় নয়, বরং এটি ব্যক্তির জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই, কোরআন থেকে মেয়েদের নাম নির্বাচন করে আমরা আমাদের সন্তানের জীবনে একটি পবিত্র এবং অর্থবহ পরিচয় প্রদান করতে পারি।