এশার নামাজ মুসলমানদের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের মধ্যে অন্যতম। এশার নামাজ ১৭ রাকাত হয়ে থাকে যা ফরজ, সুন্নত এবং নফল নামাজে বিভক্ত। প্রথমে ৪ রাকাত সুন্নতে গায়ে মুআক্কাদা পড়া হয়, যা প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) নিয়মিত আদায় করতেন এবং তার উম্মতের জন্যও আদায় করা সুন্নত। এরপর ৪ রাকাত ফরজ নামাজ, যা ইসলামের ভিত্তি এবং আল্লাহর আদেশ পালন করার জন্য আবশ্যিক।
এরপর ২ রাকাত সুন্নতে মুআক্কাদা, যা ফরজ নামাজের পর আদায় করা হয় এবং প্রিয় নবীর সুন্নত। এরপর ২ রাকাত নফল নামাজ পড়া হয়, যা ঐচ্ছিক কিন্তু প্রিয় নবী (সা.) নিয়মিত পড়তেন। এরপর ৩ রাকাত বিতির নামাজ, যা প্রায় ফরজের সমান গুরুত্বপূর্ণ এবং এশার নামাজের শেষে পড়া হয়। অবশেষে, ২ রাকাত নফল নামাজ পড়া হয় যা ঐচ্ছিক।
এশার নামাজ আদায় করলে মুমিন মুসলমানরা আল্লাহর নৈকট্য লাভ করে এবং দিনের শেষে তাদের পূর্ণ ধ্যান ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারে। সঠিক নিয়মে এশার নামাজ আদায় করা মুসলিম উম্মাহর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের একটি মাধ্যম।
নামাজের সময় আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা এবং তার রিজিক ও বরকত কামনা করলে দিনটি শেষ হয় শান্তিপূর্ণভাবে। এশার নামাজের মাধ্যমে মুসলমানরা তাদের দৈনন্দিন জীবনের ক্লান্তি দূর করতে পারে এবং নতুন উদ্যমে আগামী দিনের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারে।
এশার নামাজের ১৭ রাকাত পড়ার সঠিক নিয়ম মেনে চললে একজন মুমিন মুসলমান আল্লাহর নৈকট্য এবং বরকত লাভ করতে পারেন, যা তার ইহকাল এবং পরকাল উভয়েই কল্যাণকর।